বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের মিডিয়ার ষড়যন্ত্র।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের মিডিয়ার ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়াতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় মিডিয়ার। যেখানে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে হেউ করে দেখছে তারা। বাংলাদেশের মুসলমানেরা নাকি হিন্দুদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করছে। 

হিন্দুদের বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে এবং হিন্দুরা নাকি প্রাণের ভয়তে সবাই ভারতে পালিয়ে যেতে চাচ্ছে। হিন্দুদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, দোকানপাট লুট এমনকি তাদের নাকি রেপ পর্যন্ত করছে বাংলাদেশের মুসলমানরা। ঠিক এভাবে  ভারতে মিডিয়া জুড়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও মুসলমানদের হেউ করছে ভারতের মিডিয়া। 

বাংলাদেশ নাকি মৌলবাদদের হাতে চলে গেছে। বাংলাদেশ নাকি দ্বিতীয় আফগানিস্তান হবে ইত্যাদি ইত্যাদি কথা। আরো অনেক  মিথ্যাচার বাংলাদেশ সম্পর্কে করা হচ্ছে। চলুন একেক  করে সব সত্যি গুলো জানা যাক। 

বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভারতের সীমান্তর কাছে এসে প্রাণ পনে ভারতের যাবার চেষ্টা করছে। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোসিয়াল মিডিয়ায়। সেই ফুটেজ দেখিয়ে তারা বলছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা এভাবে ভারতে আসবার চেষ্টা করছে। 

নাকি ১ কোটি বাংলাদেশের হিন্দু ভারতে যাবে। ভাবলে অবাক লাগে একথা তাদের মন্ত্রিরা বলছে। কিন্তু সত্যি কথা হল বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের নেতারা যারা আগে থেকে অন্য দেশে চলে যেতে পারি নি তারা এ-সব জায়গায় ভিড় করছে।

বাংলাদেশের লিটন দাসের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে সেখানকার আলেমেরা। কারণ লিটন দাস হিন্দু। এভাবে নিউজ প্রকাশ করে ইন্ডিয়ার গদি মিডিয়া। কিন্তু বাংলাদেশের সবাই জানে। যে ঘরটি পুড়িয়েছে জনগণ, সেটি লিটন দাসের বাড়ি নয় বরং বাড়িটি মাসরাফি বিন মোর্তজার। 

আরো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন ব্যাক্তি বাঁচার জন্য পুকুরে ঝাপ দেয়। কিন্তু সে পুকুরে ঝাপ দেবার পরও মানুষ ডাঙা থেকে ইট ছুড়তে থাকে। এই মানুষ টি নাকি হিন্দু তাই তাকে এভাবে মারা হচ্ছে। কিন্তু সত্যি খবর হল সেই ব্যক্তি আর কেউ না ওই জায়গার মেয়র। তার খারাপ কাজের ফল ভোগ করছিলো।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের মিডিয়ার ষড়যন্ত্র।

আগে রেপ হওয়া ছবি বা ভিডিও দেখিয়ে বলছে এখন হিন্দুদের মা বোনদের ওপর এভাবে অত্যাচার করছে মুসলমানরা। আসলে দেখানো মেয়ে টি হিন্দুই না। না জানি এমন কত হাজার হাজার গুজব নিউজ ছড়িয়ে ভারতের জনগণকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনছে ভারতীয় মিডিয়া। 

কিন্তু ভারতের মিডিয়া কেনো এমন করছে। আসলে আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলো ভারতের অনুগত্য সরকার। আর তিনি  যখন থেকে ক্ষমতা থেকে বিদায় হয়েছে তখন থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুয়া নিউজ ছড়াচ্ছে গোদি মিডিয়া। 

আসলে ভারতের বেশিরভাগ মিডিয়া মোদির কন্ট্রোলে চলে। তাই ভারতের মানুষই তাদের মিডিয়াকে গোদি মিডিয়া বলে। যাইহোক ভারতের অনেক জ্বলছে তা নাহলে এত গুজব ছড়াতো না।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের মিডিয়ার ষড়যন্ত্র।