অবশেষে তাহলে শেখ হাসিনা মুখ খুললো! পদত্যাগ নিয়ে,দোষারোপ করছে কাকে? এদিকে ভারতের মিডিয়া তো দিন দিন বাংলাদেশের নিয়ে ছড়াচ্ছে নানা আজগুবি গুজব। তাছাড়াও ছোট খাটো নানান আপডেট শেয়ার করবো।
প্রথমে জানাই শেখ হাসিনা তার পদত্যাগ নিয়ে, কাকে দোষারোপ করছে? ভারতের মিডিয়া দ্যা প্রিন্ট থেকে একটি বিব্রৃতি প্রকাশ পায়।
যেখানে শেখ হাসিনা তার পদত্যাগের জন্য সম্পুর্ণ ভাবে যুক্তরাষ্ট্র কে দোষারোপ করছে। তিনি বলেন আমি যদি সেন্টমার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্র কে সেনাঘাটি বানানোর জন্য দিতাম তাহলে আমি এখনো ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার দেশের মাটি একটু খানিও বিদেশের হাতে তুলে দিতে চাই নি। তাই আজ আমার এই পরিনিতি।
তিনি বলেন নতুন সরকার কে আমি অনুরোধ করবো যাতে সেন্টমার্টিন যুক্তরাষ্ট্র কে দেয়া না হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন আমি তোমাদের রাজাকার বলিনি। আমার বক্তব্যে কে বিকৃত করা হয়েছিলো। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের বলেন তোমরা আশা হারাবে না। আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যায়নি।
এখন এই কথা গুল কতক্ষাণি সত্যি তা তো ভারতের মিডিয়া দি প্রিন্টই বলতে পারবে। যেহেতু ভারতের মিডিয়া নিয়ে কথা উঠলো তাহলে তাদের অবস্থা সম্পর্কে বলি। তারা এ কয়দিন বাংলাদেশ নিয়ে অনেক গুজব ও মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে তাদের ন্যাশনাল মিডিয়া চ্যানেল গুলোতে।অবশেষে হাসিনা মুখ খুললো!
যার মধ্য দুটি ঘটনা অনেক ভাইরাল হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে আগুন দিলো মৌলবাদীরা। মানে বাংলাদেশের মুসলিম ও আলেমদের টার্গেট করে বলা হয়েছে। তারা নাকি লিটন দাসের বাড়ি আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কারণ সে হিন্দু ভারতের মিডিয়া অনুসারে। কিন্তু বাংলাদেশের সবাই জানে যে বাড়িটা পুড়ানো হয়েছে সেটি লিটন দাসের বাড়িই না। বাড়িটি দুই বারের এমপি ক্রিকেটার মাসরাফির। কিন্তু গদি মিডিয়া লিটনের বলে চালিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে দেরিতে হলেও লিটন দাস একটি পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছেন যে, সেটি তার বাড়ি না। তিনি গুজবে কান দিতেও নিষেধ করেন।
দ্বিতীয় যে ভিডিও টি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভারতের সীমানায় গিয়ে জড় হয়েছে, ভারতে যাবার জন্য। আর এই ভিডিও দেখিয়ে গদি মিডিয়া বলছে বাংলাদেশের মুসলমানদের অত্যাচারে দলে দলে হিন্দুরা বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু সত্যি ঘটনা হল ভারতের যেসব দালাল বাংলাদেশে ছিলো ও আওয়ামীলীগের দুর্নীতি গ্রস্ত যেসব নেতারা এখনো কোনোভাবে দেশ ত্যাগ করতে পারিনি তারাই শুধু সিমানায় গিয়ে বাব বার জড় হচ্ছে।
তাছাড়াও বাংলাদেশের মুসলমানরা নাকি হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে রেপ করছে। মেরে ফেলছে এমন নানা আজগুবি নিউজ সম্প্রচারণ করছে ভারতের মিডিয়া।
কিন্তু আসল চিত্র হল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা, মাদরাসার ছাত্র সহ সাধারণ মানুষ হিন্দুদের মন্দির রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
যাবার আগে গুরুত্বপুর্ণ একটি আপডেট শেয়ার করি। বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যের অনেকেই ডিউটিতে আস্তে চাচ্ছে না। যার ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা দিনকে দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। তাই আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন। ১৫ তারিখের মধ্যে যেসব পুলিশ সদস্য ডিউটিতে যোগদান করবে না, তাদের কে পলাতক ঘোষণা করা হবে।
এদিকে নুতন যুব ও ক্রিয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন শেখ হাসিনার নামে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টানো হবে।
এসব বিষয়ে আপনার কি মতামত তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। অবশেষে হাসিনা মুখ খুললো!
Leave a Reply